‘অংকন আত্মহত্যা করতে পারেনা, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে’

থাকতেন অঙ্কন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী অঙ্কন বিশ্বাস আত্মহত্যা করতে পারেন না, তাকে হত্যা করে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে অঙ্কন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই আমি অঙ্কন দিদির সাথে মিশেছি। তার কাছ থেকে বিতর্ক শিখেছি, একসাথে বিতর্ক করেছি। তার মতো স্পষ্টভাষী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, আত্মবিশ্বাসী ও মেধাবী শিক্ষার্থী কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না।

আমি বলছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল দাস অনুপ বলেন, অঙ্কন বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি।

প্রতিবন্ধী শিশুদের বিশেষ বিদ্যালয়

এ ঘটনাও যাতে আগের মতো ধামাচাপা পড়ে না যায় সেজন্য সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, অঙ্কন বিশ্বাসের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার জন্য আমরা যেভাবে সবাই এগিয়ে এসছিলাম, তেমনিভাবে এই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনেও আমরা সবাই এগিয়ে আসব এই প্রত্যাশা। সুমাইয়া ইসলাম সোমা বলেন, অঙ্কনের এ রহস্যজনক মৃত্যু ধামাচাপা না পড়ুক।

প্রেমিককে দিয়ে মেয়েকে ১ বছর ধরে ধর্ষণ করালেন মা!

তদন্ত করে বের করা হোক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। সে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে, এসব নিয়ে না কথা বলে জগন্নাথের শিক্ষার্থী হিসেবে তার মৃত্যুর কারণ বের করে আনতে সবার এগিয়ে আসা উচিত। এ নিয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। তার পরিবারও চুপ করে রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে তার পরিবারের সহযোগিতা করা উচিত। উল্লেখ্য, অঙ্কন বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল স্বামীর বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন অঙ্কন বিশ্বাস। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৮ মে মৃত্যুবরণ করেন অঙ্কন। মৃত্যুর পর জানা যায় ধর্মান্তরিত করে এই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ। এদিকে, বন্ধুদের ভাষ্য অনুযায়ী শাকিলের সাথে বিভিন্ন সময় মনোমালিন্য ও বিয়ের বিষয়ে ডিপ্রেশনে থাকতেন অঙ্কন।