অপরাধ ছেড়ে নতুন জীবনে তাঁরা

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন ১০ বছর আগে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২২ দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর চলতে থাকে মামলার কার্যক্রম। একদিকে আদালতে মামলার হাজিরা, অন্যদিকে স্ত্রীসহ তিন সন্তানের সংসারের খরচ জোগানো।

পেশায় দিনমজুর ইসমাইলের (৩৮) হিমশিম অবস্থা তখন। গত বছরের ২ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবেশনের আবেদন করেন। এরপর ৯ মার্চ আদালত তাঁকে এক বছরের প্রবেশনে পরিবারের সঙ্গে থেকে সাজাভোগের সুযোগ দেন। শর্ত পূরণ করায় চলতি বছরের ৯ মার্চ প্রবেশন থেকে তিনি মুক্তি পান।

আরো পড়ুন:অসহায় প্রতিবন্ধী শিশুর স্কুল রক্ষার দাবিতে কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অনশন করেন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে। 

চট্টগ্রাম আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে মাদক বহন ও বিক্রি, মারামারিসহ লঘু অপরাধে আসামি হওয়া ২১৭ জন প্রবেশন পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭১ জন এখনো প্রবেশনে রয়েছেন। বাকি ৪৬ জন আদালতের শর্ত পূরণ করায় দণ্ড থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে ফিরেছেন নতুন জীবনে।

প্রবেশনে থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া ইসমাইল হোসেনের জন্য ছিল পাঁচ শর্ত: নতুন করে অপরাধে না জড়ানো, সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী কাজ না করা, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, ভালো আচরণ করা এবং মাদকবিরোধী প্রচারণায় অংশ নেওয়া।

ইসমাইল এখনো দিনমজুরি করেই সংসার চালাচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী রিমা আক্তার জানান, প্রবেশনে নিজেকে সংশোধন করেছেন তাঁর স্বামী।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ইসমাইল নতুন করে কোনো অপরাধে জড়াননি।

উৎস: প্রথম আলো