পারিবারিক কলহে আলাদা, পরিবারটিকে একত্র করলো মৃত্যু

সম্প্রতি নেপালে বেড়াতে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন চারজনই

পারিবারিক কলহে সংসার ভেঙেছিল আগেই। আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন, বছরে ১০ দিন করে একসঙ্গে থাকার। সেজন্যে ঘুরতে যাচ্ছিলেন নেপালে।

এবার দুর্ঘটনায় পুরো পরিবারটিই একসঙ্গে ছাড়ল পৃথিবী। রবিবার (২৯ মে) নেপালের পর্যটন শহর পোখারা থেকে উড্ডয়নের পর ৮০ মাইল দূরে পার্বত্য শহর জমসমে যাওয়ার পথে তারা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়।

এতে বিমানের ২২ আরোহীর সবাই নিহত হন। এর মধ্যে চারজন একই পরিবারের। তারা হলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ী অশোক কুমার ত্রিপাথি (৫৪), তার স্ত্রী বৈভবী বান্দেকর ত্রিপাথি (৫১), ছেলে ধানুশ (২২) ও মেয়ে ঋতিকা (১৫)। অশোক ত্রিপাথি ওড়িশায় একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। আর বৈভবী ত্রিপাথি মুম্বাইয়ের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন- গোপালগঞ্জে যাত্রীবেশে বাস ডাকাতি

মুম্বাইয়ের কাছে থানে এলাকার কাপুরবাওদি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অশোক ত্রিপাথি ও বৈভবী ত্রিপাথি দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল। বিচ্ছেদ মামলা পরিচালনার সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন বছরে ১০ দিন পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে কাটাতে হবে।

সে অনুযায়ী তারা এয়ারের একটি উড়োজাহাজে নেপালের পোখরা থেকে জমসন শহরে যাচ্ছিল পরিবারটি। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই সেদিন ২২ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হয়। পরে ২২ জনেরই মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। যাত্রীদের মধ্যে দুজন জার্মান, চারজন ভারতীয় আর বাকিরা নেপালের নাগরিক। উড়োজাহাজের ক্রুদের মধ্যে তিনজন ছিলেন নেপালের।

মুম্বাইয়ের নিকটবর্তী শহরে থানের বালকুম এলাকায় রুস্তমজি অ্যাথেনা হাউজিং সোসাইটিতে বৈভবী বান্দেকর সন্তানদের সঙ্গে থাকতেন। বৈভবী ত্রিপাথির মায়ের বয়স ৮০ বছর। তিনি অসুস্থ থাকায় দুর্ঘটনার বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। নেপালে আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে থাকে। ২০১৮ সালে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট ৭১ জন আরোহী নিয়ে কাঠমান্ডুতে অবতরণ করার সময় উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ৫১ জন নিহত হয়।