বিশ্বকাপের পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইনদের ১০০ গোল

পরিসংখ্যানটি বেশ মজার। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বরের পর থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে নিয়ে এই হিসাব শুরু। তারিখটা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি ফুটবলপ্রেমীরা। সেদিন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতে ৩৬ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট ফিরে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কাতারের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘বিশত’ পরে সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরেছিলেন লিওনেল মেসি।

বিশ্বকাপের পর উৎসবে মেজাজে উন্মাতাল কয়েকটা দিন কাটিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। এরপর ফিরে গিয়েছিলেন নিজ নিজ ক্লাবে। তারপর থেকে কাল রাতে ইউরোপা লিগের ফাইনাল পর্যন্ত জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়দের পা থেকে এসেছে ১০০ গোল। গতকাল রাতে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ইউরোপা লিগ ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে এএস রোমার পাওলো দিবালার গোলটি ছিল শততম গোল।

আরো পড়ুনঃঅসহায় প্রতিবন্ধী শিশুর স্কুল রক্ষার দাবিতে কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অনশন করেন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে। 

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা তিন গোলরক্ষক এই হিসাব থেকে স্বাভাবিকভাবেই বাদ যাবেন। বিশ্বকাপের পর গোল করতে পারেননি বা সুযোগ পাননি তিন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জার্মেইন পেৎসেলা ও নিকোলাস তালিফিয়াকো। গোল করার হিসাবে নাম তুলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ২০ ফুটবলার। এর মধ্যে কাতার বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার সেই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম গোল করেছিলেন একজন ডিফেন্ডার—হুয়ান মার্কো ফয়েথ। ৩১ ডিসেম্বর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোল করেছিলেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার।

বিশ্বকাপে লাওতারো মার্তিনেজ গোল করতে পারেননি। তাঁর পারফরম্যান্স কিছুটা সমালোচিতও হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের পর ইন্টার মিলানের হয়ে জ্বলে ওঠেন। একাই করেন ২০ গোল। দলকে তুলেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। বিশ্বকাপ জয়ের পর মার্তিনেজ এখন দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সম্ভাবনার সামনে। ২০ গোল করেও মার্তিনেজ আর্জেন্টিনার এশিয়া সফরের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েছেন শততম গোল করা দিবালাও।

বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনা দলের আরও যাঁরা গোল পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন পাওলো দিবালা (১০ গোল), হুলিয়ান আলভারেজ (১০ গোল), আনহেল দি মারিয়া (৮ গোল), আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (৭ গোল), থিয়াগো আলমাদা (৭ গোল), এজেকুয়েল পালাসিওস, আনহেল কোরেরা ও নাহুয়েল মলিনা (৪ গোল করে), মার্কোস আকুনা (৩ গোল), এনজো ফার্নান্দেজ (২ গোল)। একটি করে গোল করেছেন মার্কো ফয়েথ, গঞ্জালো মন্তিয়েল, লিসান্দ্রো মার্তিনেজ, গুইদো রদ্রিগেজ, নিকোলাস ওতামেন্দি, রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, পাপু গোমেজ।

উৎসঃপ্রথম আলো