অসহায় প্রতিবন্ধী শিশুর স্কুল রক্ষার দাবিতে কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অনশন করেন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে। 

প্রতিবন্ধী শিশুর স্কুল রক্ষার দাবিতে ঢাকা জেলা কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অন্বেষণ করেন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ।

অসহায় প্রতিবন্ধীদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য আকুল আবেদন। কেরানীগঞ্জ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন মাসুম বক্তব্য রাখেন এবং আরো বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা।

কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অন্বেষণ করেন

মোঃ জাকির হোসেন মাসুম বলেন অসহায় প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধীরা সমাজের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।

 প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলের স্কুল

অসহায় প্রতিবন্ধীদের শিশুদের স্কুল রক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমেছে প্রতিবন্ধী শিশুদের মায়েরা, তারা শিশুদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জনাব নসরুল হামিদ বিপু মাননীয় (প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়) ডঃ বেনজীর আহমেদ (মাননীয় মহাপরিদর্শক), বাংলাদেশ পুলিশ জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম, (মাননীয় জেলা প্রশাসক ঢাকা জেলা) শাহীন আহমেদ, (মাননীয় চেয়ারম্যান কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ) জনাব মোঃ মেহেদী হাসান, (মাননীয় উপজেলা নির্বাহি অফিসার কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ) এর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তাদের শিশুদের জন্য ক্যানিয়ন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় এর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোঃ জাকির হোসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিশুদের জন্য ক্যাম্পাসের জানিয়েছেন।

 প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলের স্কুল

জনাব মোঃ জাকির হোসেন  বলেন এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলের স্কুল রক্ষার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদেরকে শিক্ষার মাধ্যমে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে তারও সমাজের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে তারা আমাদের সমাজের বোঝা নয় দ্বারা আমাদের সম্পদ আরে সম্পদকে কাজে লাগানোই আমাদের লক্ষ।

 প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলের স্কুল

একই দাবিতে গত অক্টোবরে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন অভিভাবকরা । এছাড়া প্রেসক্লাবে মানবন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েও তারা দাবি তুলে ধরেছিলেন।

“সরকার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নিয়ে যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, সে অনুযায়ী আমরা প্রতিবন্ধী শিশুর স্কুল রক্ষার বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছি। দুই বছর ধরে সেই আবেদন পড়ে আছে। কোনো বাস্তবায়ন দেখছি না।”
 প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলের স্কুল
সমিতির নেতারা জানান, বেসরকারি উদ্যোগকে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা করার লক্ষ্যে সরকার ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০০৯’ প্রণয়ন করে। ২০১৯ সালে প্রতিবন্ধীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে আরও দুটি নীতিমালা করা হয়।

নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সম্পর্কিত সমন্বিত/বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’ এবং ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) ব্যতীত প্রতিবন্ধী সম্পর্কিত সমন্বিত/বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’- নামে এ দুটি নীতিমালা অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে।

শিক্ষকদের ভাষ্য,  সরকার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নিয়ে যে নীতিমালা করেছে, সে অনুযায়ী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য দুই বছর আগে আবেদন করা হলেও তার বাস্তবায়ন তারা দেখছেন না।

 প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলের স্কুল

১১ দফা দাবি

>> প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর একসঙ্গে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করতে হবে।

>> বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ হতে বেতন ভাতা দিতে হবে।

>> সব বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা।

>> সব বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ নিশ্চিত করা।

>> বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রী উপযোগী স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা।

>> সব বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ শতভাগ নিশ্চিত করা।

>> প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা।

>> শিক্ষক-কর্মচারীদের মান উন্নয়নমূলক ট্রেনিংসহ সংশ্লিষ্ট সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

>> শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা।

> প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর আধুনিক থেরাপি সরঞ্জাম সরবরাহসহ থেরাপি সেন্টার চালু করা।

> ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানসহ আত্মনির্ভরশীল জীবন যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান।

কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অন্বেষণ করেন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অটিজমসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী শিশুদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রকাশেরও অধিকার আছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ অটিস্টিক বিদ্যালয় অভিভাবকরা মানববন্ধন ও অন্বেষণ করেন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে

ই-তথ্যের মাধ্যমেও প্রতিবন্ধীদের অভিভাবকদের সন্তানের বিকাশের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যেসব মা-বাবা অনেক কষ্ট করে প্রতিবন্ধী শিশুদের বিকাশের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে প্রতিবন্ধী শিশুদের মেধা রয়েছে। তা বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে।প্রতিবন্ধীরা যেন পরনির্ভরশীল না থাকে: প্রধানমন্ত্রী