ডাঃ রাশেদুল হাসান বক্ষব্যাধি ও এ্যাজমা বিশেষজ্ঞ | Chest Diseases Specialist ডাক্তার

শ্বাসকষ্ট মানেই কোন রোগ নয় বরং বক্ষব্যাধি কিংবা হৃদরোগের লক্ষণ।  অনেকে শ্বাসকষ্ট মানেই হাঁপানি মনে করেন।  এছাড়াও হৃদপিন্ডের বাম দিকের অংশ অকেজো হয়ে পড়লেও (লেফট হার্ট ফেইলিউর ) তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। কিডনি  বৈকল্যের  জন্যও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়া যেহেতু আমরা ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস নিয়ে থাকি তাই ফুসফুসের যে কোনো ধরনের সমস্যা বা রোগেই শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।

নিউমোনিয়া  নামটি  সবার কাছে পরিচিতি। এই রোগের একটি উপসর্গ হলো শ্বাসকষ্ট। অবশ্য শ্বাসকষ্ট নির্ভর করে ফুসফুসের আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপকতার উপর অর্থাৎ ফুসফুস যতো বেশি আক্রান্ত হয় শ্বাসকষ্ট ততো বেশি প্রকট হবে। ক্রনিক ব্রংকাইটিসের এবং এম্ফাইসেমার  নাম তো অনেকেই জানেন। এই দুই রোগের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অতিরিক্ত ধূমপান, ধোঁয়াময় পরিবেশ, পরিবেশ দূষণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও ক্রনিক ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে।

বাহ্যিকভাবে ক্রনিক  ব্রংকাইটিস রোগটির সাথে ফুসফুসের হাঁপানির অনেক মিল রয়েছে। যদিও দুটি রোগ সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। এ রোগ হলে শ্বাসকষ্ট দিন দিন বাড়তেই থাকে এবং অনেক রোগী আছেন যারা নিজেকে হাঁপানি রোগী বলে মনে করেন। হঠাৎ শ্বাসনালীতে কোন পদার্থ ঢুকে গেলেও  প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। অনেকে শিল্প কারখানায় কাজ করতে করতে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। শিল্প কারখানার দূষণজনিত বিশেষ বিশেষ রোগ হয়ে থাকে যার প্রতিটি রোগেরই লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট।

বাংলাদেশে ফুসফুসের যক্ষ্মা একটি অন্যতম প্রধান বক্ষব্যাধি। যক্ষ্মা থেকে ফুসফুসের বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে গেলে রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে। যক্ষ্মার নিরাময় ওষুধ খাওয়ার পর যক্ষ্মা সেরে গেলেও শ্বাসকষ্ট লেগেই থাকে। ফুসফুসের ক্যান্সার বা যে কোনো ধরনের টিউমার হলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অনেক রোগীকে দেখেছি যে, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।  প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কোনো কারণ খুঁজে পাইনি। পরে দেখা যায় যে, তিনি মানসিক কোনো সমস্যায় ভুগছেন।  অর্থাৎ সেই বিশেষ ধরনের সমস্যা দেখা দিলেই রোগীটি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। হিস্টিরিয়া আক্রান্ত রোগী তো অনেকেই দেখেছেন।

হিস্টিরিয়া রোগীর শ্বাসকষ্ট কতো ভয়ানক হতে পারে তা অকল্পনীয়। অনেক সময় দেখেছি ক্রিমিজনিত কারণেও  শিশু শ্বাসকষ্টে ভুগছে। সেই শিশুকে মাসের পর মাস হাঁপানির ওষুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু একবার ক্রিমির ওষুধ খাওয়ালেই হয়তো শিশুটির শ্বাসকষ্ট সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যেতো। বাংলাদেশে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ দূষণের ফলেই তা হচ্ছে। শ্বাসকষ্টের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে হবে এবং তা সনাক্ত করে তার যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োগ করলেই শ্বাসকষ্ট ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

লেখক : ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান বক্ষব্যাধি, এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।

 

ডাঃ রাশেদুল হাসান

বাংলাদেশের যে‌‌‍’কজন বক্ষ ও এ্যাজমা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক ডাঃ রাশেদুল হাসান একজন।

 

ডাক্তারের পরিচয়

ডাঃ রাশেদুল হাসান

এম.বি.বি.এস. (মেডিসিন), চেষ্ট, এ্যাজমা এবং মেডিসিন স্পেশালিষ্ট।

এসোসিয়েট প্রফেসর ডিপার্টমেন্ট অব মেডিসিন, বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)।

 

সহযোগী অধ্যাপক

এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৩য় তলায় তিনি বসেন।

 

চেম্বারের ঠিকানা

মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার,

 

চেম্বারের অবস্থান

বাড়ি# ৮, রোড# ৭, নতুন/ পুরাতন ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৫।

ফোন- ৮৬১৬০৭৪

 

লোকেশন

মিরপুর রোডের পূর্ব পাশে ক্যাপিটাল মার্কেটের দক্ষিণে মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ৩য় তলায় চেম্বারের অবস্থান।

 

বুকিং নম্বর

এই ডাক্তার সাহেবের কাছে রোগী দেখানোর জন্য ফোনে অথবা সরাসরি এসে ১৫ দিন পূর্বে বুকিং দিতে হয়।

মোবাইল- ০১৭১৪-১১০৩৬৭৯।

তিনি শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন।

 

প্রেসক্রিপশন ফি

ডাক্তার সাহেবের প্রেসক্রিপশন ফি-

নতুন রোগী- 1000 টাকা।

 

রিপোর্ট দেখানোর জন্য কোন চার্জ প্রদান করতে হয় না।

 

চেম্বারের পরিবেশ

ডাক্তার সাহেবের চেম্বারের ওয়েটিং রুমে একসাথে ৩০ থেকে ৪০ জন বসার জন্য সূদৃশ্য প্লাষ্টিকের চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বসে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থাও রয়েছে। চেম্বারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিণ ব্যবস্থা রয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থাও বিদ্যমান। চেম্বারে নামাজ পড়ার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।

 

অন্যান্য

-ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে টেষ্ট ও ফার্মেসি সুবিধা না থাকলেও এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেস্ট সুবিধা ও ফার্মেসি রয়েছে।

-চেম্বারে অপারেশন না করলেও প্রয়োজনে ডাক্তার সাহেবের রেফারকৃত অন্য ডাক্তারের অধীনে অপারেশন করা হয়।

-ডাক্তার সাহেব প্রতিদিন রোগীভেদে ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিয়ে প্রায় ২৫/৩০ জন রোগী দেখেন।

-এই ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে গরীব রোগীদের জন্য আলাদা কোন সুযোগ নেই।

-ডাক্তার সাহেব সিরিয়াল মেইনটেইন করে রোগী দেখেন। রোগীর সাথে সর্বোচ্চ একজন স্বজন চেম্বারের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন।

-ডাক্তার সাহেবের চেম্বারের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় সিরিয়াল মেইনটেইন ও অন্যান্য কাজের জন্য ৩ জন সহকারী রয়েছে।

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।