বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র চৌধুরীকে স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি বিধিবহির্ভুতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ আছে সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম(হোমিও ডাক্তার)কে স্কুলের দোকান (দোকান নং ১, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর) ভাড়া নবায়ন না করায় প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। আর সে জন্য প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম(হোমিও ডাক্তার) বলেন, প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র চৌধুরীর উপর অনেক অভিযোগ আছে। তিনি বলেন, এডহক কমিটিতে তার নাম (ডা. শহিদুল ইসলাম) না পাঠানোয় এমপি মহোদয় লজ্জা পেয়েছেন। কিন্তু কমিটিতে তার না পাঠানো কিংবা এমপি মহোদয় লজ্জা পেলে কী প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করা যায়, প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। তিনি বলেন, বিস্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অতঃপর তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে লাইন কেটে দেন।
আরও পড়তে পারেন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিদ্যমান সরকারি ও বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা ও রেফারেল সেবাসমূহ
এদিকে প্রধান শিক্ষক দুলাল চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করায় শিক্ষক সমাজে নিন্দার ঝড় বইছে! শিক্ষকরা এর সুষ্ঠ তদন্তসহ প্রধান শিক্ষক দুলাল চৌধুরীকে স্বপদে বহাল এবং সভাপতিকে অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি জালালা উদ্দিন বলেন, দুলাল চন্দ্র চৌধুরীকে তাঁর স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি কোন মিটিং ছাড়াই এককভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছে যা খুবই বেদনাদায়ক, নিন্দনীয় অপরাধ ও বিধিবহির্ভূত। ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির এহেন বিধি বহির্ভূত একক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সভাপতি নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতার পরিধি সম্পর্কে যিনি ওয়াকেবহাল নন, তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন কিভাবে? তিনি বিধি বহির্ভূত এ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দ্রুত প্রত্যাহার ও সভাপতিকে বহিষ্কার দাবী জানান।
Source : thebdcampus